দুই রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না: সৌদি আরব

ফিলিস্তিনের সঙ্গে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। শুক্রবার টুইটারে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা এক বার্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আলোচনার পরই সৌদি কূটনীতিকের এমন বক্তব্য পাওয়া গেল।

দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন চলাকালে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন প্রিন্স ফয়সাল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্র নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই কেবল সত্যিকারের স্বাভাবিক অবস্থা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে দেশটি বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অনীহা প্রকাশ করে আসছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারির বিরোধিতা করে এমন অবস্থান জানিয়ে আসছে তারা।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আব্রাহাম চুক্তির আওতায়, সৌদি আরবের দুই প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে পরিপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। সে তালিকায় সৌদি আরবের নাম দেখতে পাওয়ার ইচ্ছা বারবারই প্রকাশ করে আসছেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি এ নেতার কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু ও সুলিভানের মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরবকে এ চুক্তিতে যুক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানে দুই রাষ্ট্র সমাধানের ধারণা কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আলোচিত হয়ে আসছে। এই কূটনীতির মূল ভিত্তি হলো ইসরায়েলের পাশাপাশি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে। তবে সে লক্ষ্য অধরাই থেকে যাচ্ছে। দখলকৃত পশ্চিম তীরে ক্রমাগত ইহুদি বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে ইসরায়েল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *