‘কাজ নয়, জীবন উপভোগ করুন’

গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। চাকরিচ্যুতির এ খবর কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাইয়ের এক আবেগঘন ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। ছাঁটাই হওয়া ১২ হাজার কর্মীর মধ্যে সাধারণ কর্মীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও আছেন। তাঁদের অনেকেই এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ১২ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার জাস্টিন মুরও আছেন। তিনি পেশাজীবীদের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে জানিয়েছেন, সাড়ে ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে গুগলে চাকরি করছেন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে হঠাৎ তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি জানতে পারেন, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের মধ্যে তিনিও আছেন।জাস্টিন মুর আরও বলেন, ‘গুগলে সাড়ে ১৬ বছরের বেশি সময় চাকরি করার পর রাত তিনটায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে আমাকে জানানো হলো, আমি সৌভাগ্যবান ১২ হাজার জনের মধ্যে একজন। এ ছাড়া আর কোনো তথ্য আমাকে দেওয়া হয়নি, অন্য কোনোভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়নি।’জাস্টিন মুর বলেন, গুগলে তাঁর চাকরিকাল ‘অনেকটাই বিস্ময়কর’ ছিল। তিনি তাঁর দল যেভাবে কাজ করেছে, এ জন্য তিনি গর্বিত।

নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে জাস্টিন মুর বলেন, এ থেকে এটাই শেখা গেল যে কাজ আপনার জীবন নয়, কর্তৃপক্ষও সবকিছু নয়। বিশেষ করে গুগলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে কেউই অপরিহার্য নয়। তাই জীবনকে উপভোগ করুন, কাজ নয়।’গত শুক্রবার প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। কর্মী ছাঁটাইয়ের পুরো দায় নিজে নিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আবেগঘন চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে এত দিন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে যেসব কর্মী কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিচাই। তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।গুগল জানিয়েছে, বিশ্বের নানা জায়গা থেকে কর্মী ছাঁটাই করেছে গুগল। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে আমেরিকায়। ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ওই কর্মী নতুন চাকরি খুঁজে নিতে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে গুগল। ৬০ দিনের নোটিশ দিয়ে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের পুরো বেতনসহ সব পাওনা পাবেন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। ২০২২ সালে কাজের জন্য বোনাস ও বাকি ছুটির সুবিধাও তাঁরা পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *