হ-বাংলা নিউজ:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ভারতে বসে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কোনোভাবেই সফল হবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের স্বপ্ন কখনোই বাংলাদেশের মানুষ পূর্ণ করতে দেবে না।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেছে। অথচ তারা আমাদের বলছে, আমরা পালানোর পথ পাব না। এটা সত্যিই হাস্যকর।”
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার অনুষ্ঠিত কাউন্সিলর সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে ছাত্র গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সিটি করপোরেশন ও পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি এবং বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে আলোচনা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গাসিকের সাবেক কাউন্সিলর এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি, বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মধু, সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম কিবরিয়া, পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ প্রমুখ।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসর জনপ্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন অথবা পালানোর পথ খুঁজছেন।”
সমাবেশে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের বহাল রেখে সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের বাতিল করা গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং আমলারা এখনও বহাল রয়েছেন।”
তিনি বলেন, “যারা আওয়ামী লীগের দালালি করেছেন, তাদের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় দায়িত্ব দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি আরও বলেন, “একটি কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটের বেনিফিশিয়ারি কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধিদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরকে পুনর্বহাল রাখতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, জেল খেটেছি। রাজপথে থেকে আমরা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছি। ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার ছিলেন, তাদের দ্রুত সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় পুনর্বহাল করা উচিত।”
বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মধু বলেন, “আমরা চাইলে ঢাকায় ৫০ লাখ মানুষ সমবেত করতে পারি, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এসব নয়। আমরা শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই।” তিনি আরও বলেন, “রাজপথ থেকে আমাকে গ্রেফতার করে ভাতের হোটেলের হারুন গুম করে রেখেছিল, এক হাত ভেঙে দিয়েছিল। তবে আমরা কখনো দমে যাইনি।”
