ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রতীকী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ

হ-বাংলা নিউজ:

ঢাকার আমেরিকান সেন্টারে বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি প্রতীকী নির্বাচন, যেখানে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ এবং অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছেন।

এই বিশেষ আয়োজনে তরুণ নেতা, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা অংশ নেন। তাঁরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফল দেখেন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

এসময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে একটি শ্বেতপত্র তৈরি করা কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের কারণে বাংলাদেশের জন্য খুব বেশি দুশ্চিন্তা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু একটি দলের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এখানে বাণিজ্যিক, কৌশলগত, ভূ-রাজনৈতিকসহ একাধিক কারণে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্টের পরিবর্তন ঘটলেই একদিনে পুরো পরিস্থিতি বদলে যায় না। সুতরাং, যে দলেরই ক্ষমতায় আসুক, বাংলাদেশের ওপর তার বড় প্রভাব পড়বে না। এই বিষয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারেনি, তাই আমরা বিদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিতে চাই।”

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রায় আড়াইশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যকরী। তবে আমরা একটি অপেক্ষাকৃত নতুন রাষ্ট্র, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো পরীক্ষাধীন। আমাদের পদ্ধতি এবং তাদের পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের পার্লামেন্টারি সিস্টেম এখনও স্থিতিশীল হয়নি, তবে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে চলছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বর্তমান সময়ে সংকটের মধ্যে রয়েছে, এবং সেখানে বিভাজন গভীরতর হচ্ছে। এ বছর নির্বাচনের ফলাফল সহিংসতার দিকে চলে যেতে পারে, যা অনেকেই আশঙ্কা করছেন।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টুইট করেছেন, যা সম্ভবত ভারতীয়দের ভোট পাওয়ার উদ্দেশ্যে। তবে আমি মনে করি, ট্রাম্প বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না, এবং এর কোনো বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না।”

অন্তর্বর্তী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডিন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়া একটি জীবন্ত গণতন্ত্রের উদাহরণ। বাংলাদেশের তরুণদের এই অভিজ্ঞতায় যুক্ত করে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং নাগরিক অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তাদের আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করতে চাই। আমরা আশা করি, এই আয়োজন ভবিষ্যতের নেতাদের অনুপ্রাণিত করবে, যাতে তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের কণ্ঠস্বরের মূল্যায়ন করতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *