হ-বাংলা নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি মাত্র ৩ দিন। এই শেষ মুহূর্তের প্রচারণার অংশ হিসেবে শুক্রবার মিশিগান ও উইসকনসিনে দুটি সমাবেশ করেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস উইসকনসিনের অ্যাপলটন ও মিলওয়াকিতে প্রচার চালান। খবর দিয়েছে বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি এবং আলজাজিরা।
উইসকনসিনের বিভিন্ন স্থানে, যেমন জ্যানেসভিল, লিটল চুট, ম্যাডিসন এবং মিলাউকিতে সমাবেশ করে কমলা হ্যারিস। ভোটারদের আকর্ষণ করতে এই সমাবেশে সংগীতশিল্পী গ্লোরিলা, কার্ডি বি এবং ফ্লো মিলির উপস্থিতি ছিল।
কমলা হ্যারিস বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে পরিবর্তন করবেন এবং একটি সহনশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।
তিনি রিপাবলিকান সমর্থক লিজ চেনিকে “দেশপ্রেমিক” উল্লেখ করে ট্রাম্পের “সহিংস” মন্তব্যের সমালোচনা করেন। ম্যাডিসনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ট্রাম্পের উসকানিমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত। একজন ব্যক্তি যিনি এমন কথাবার্তা বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য।”
এদিকে, সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রেক্ষাপটে কমলা হ্যারিস তার প্রচারণার বার্তায় পরিবর্তন এনেছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্টের প্রতি সংবেদনশীল থাকার অঙ্গীকার করেছেন, তবে ইসরাইলের সামরিক সহযোগিতা কমানোর দাবি মানতে অস্বীকার করেছেন।
মিলাউকির সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, “তিনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিহত করবেন” এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে আশার বার্তা নিয়ে আসার কথা জানান। তিনি কমলাকে “নিম্ন বুদ্ধিমত্তার ব্যক্তিত্ব” বলেও উল্লেখ করেন এবং দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা জন্য বর্তমান প্রশাসনকে দায়ী করেন।
ট্রাম্প মিশিগানের আরব-আমেরিকান ভোটারদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি জানান, নির্বাচনে জিতলে স্বাস্থ্যসেবায় রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের “বড় ভূমিকা” থাকবে।
আগামী মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ৬৮ মিলিয়নের বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, দুজন প্রার্থীই সমান সমর্থনে এগিয়ে। দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্যে কোন প্রার্থী এগিয়ে থাকবে, সেটাই নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলবে।
